মাসুদ রানা : পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে ছিল উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সরাসরি দেখতে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সুধী সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যাবসায়ি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার উৎসুক জনতা বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে উপস্থিত হন।
উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি,
আলোচনার শুরুতেই স্বরণ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম গুলিতে নিহত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতেন্নেছা মজিব সহ এই পরিবারের সকল শহীদ সদস্যকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। আরও স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতার সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য নির্যাতিত নাড়ীকে।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ আর আজকে তার কন্যা দিলেন পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছিলেন মুক্তির পথ এবং সপ্ন দেখিয়ে গিয়েছিলেন আর শেখ হাসিনা সেই সপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, গত ৪১ বছর ধরে ক্রমাগত তিনি সংগ্রাম করেই যাচ্ছেন এবং সাথে বাংলাদেশ কে নতুন করে সপ্ন দেখাচ্ছেন আর সমস্ত সপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য যতকিছু প্রয়োজন সব কিছু করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন আজকের বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশ কে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ কে উদ্ভাবনী বাংলাদেশে রুপান্তর করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
আরও বলেন বঙ্গবন্ধু যেদিন স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এলেন তার পরের থেকে প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ এর মধ্য দিয়ে কেটেছে। সেই সাথে শেখ হাসিনার প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাটছে। সবাই চেয়েছিলেন এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু হোক কিন্তু তিনি এই সেতুর নাম দিলেন পদ্মা সেতু, বাংলাদেশে তিনি তার নাম ফুটাতে চাননি তিনি চেয়েছিলেন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ফোটাতে যার প্রমাণ দেখলেন আজ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে।
এই পদ্মা সেতু আমাদের বিজয়ের প্রতীক, এই পদ্মা সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ, আমাদের সাফল্যের প্রতীক আর এই বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন শেখ হাসিনার হাত দিয়ে হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। আজ শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ। আপনারা শেখ হাসিনা কে ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজকে এই পদ্মা সেতু সুতরাং আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনা কে ভোটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা বাংলাদেশ কে কতটা ভালোবাসি।
যারা স্বাধীনতার বিরোধী, গনতন্ত্রের বিরোধী তাদের হটিয়ে দিয়ে আমরা যেন আবার আওয়ামীলীগ কে নেতৃত্বে এনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোঃ মশিউর রহমান।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি যে আর ওয়াদুদ টিপু। স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নাড়ী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম দেওয়ান।
এম আর ইসলাম বাবুর উপস্থাপনায়
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনঃ-জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ,পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী ও আবিদা সুলতানা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন। এবং জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের সভাপতি সেক্রেটারি সহ নেতা কর্মীরা।
সবশেষে বেলুন উড়িয়ে, শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে মনোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষ হয়।