স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে লিড মাত্র ১৭ রানের, সাজঘরে ফিরে গেছেন প্রথম পাঁচ ব্যাটার। সচরাচর টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদেরকে এমন অবস্থায় দেখে অভ্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু ২০২২ সালের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ঠিক এ অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল মুমিনুল হকের দল।
যা বাংলাদেশ দলের জন্য রীতিমতো স্বপ্নের। তবু স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে তুলে নিতে হতো বাকি থাকা পাঁচ উইকেট। সেটিও পেশাদারিত্বের সঙ্গেই করেছেন টাইগার বোলাররা। যে কারণে শেষদিন মাত্র ২২ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এরপর স্বাগতিকদের দেওয়া ৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে খুব একটা বেগে পেতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। যা এনে দিয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়। আর এ জয়ের অপেক্ষা কিংবা দুশ্চিন্তা অথবা কৌতূহলে মঙ্গলবার রাতে ঘুমোতেই পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল।
ম্যাচ শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, কী অনুভব করছি। এটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। সত্যি কথা বলতে, আমি গতকাল রাতে ঘুমোতে পারিনি, আজ কী হবে সেটা ভেবে। যখনই ৫ উইকেট পড়ে গেল, মনে হয়েছে ওরা কম রানেই অলআউট হয়ে যেতে পারে।’
খালি চোখে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। যা দেখে মনে হতে পারে কিউইদের ব্যাটিং লাইনআপের ওপর হয়তো মুহুর্মুহু আক্রমণ করে গেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু আসলে তা নয়।
মূলত প্রক্রিয়া ধরে রাখার দিকেই মনোযোগী ছিল বাংলাদেশ, ‘আমরা ফল নিয়ে কিন্তু চিন্তা করিনি। আমি এখন বললে হয়তো অনেকে বলবে লোকটা পাগল হয়ে গিয়েছে। আমাদের ভেতরে ছিল, প্রক্রিয়া অনুযায়ী যেন খেলতে পারি। যেমন ব্যাটিংয়ের সময় লক্ষ্য ছিল লম্বা সময় ধরে খেলার। বোলিংয়ে একটা জায়গায় বল করা।’
মুমিনুল আরও বলেন, ‘বোলারদের প্রতি বার্তা ছিল, আমরা শেষ চারদিন যে বল করেছি, সেভাবেই যেন করি। উইকেটের জন্য যাব না। পরিকল্পনা ছিল, উইকেটের জন্য করতে গিয়ে যেন রান না দেই। শেষ চারদিন যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটাই অনুসরণ করা, চাপ তৈরি করা। ফল আসলে আসবে, না আসলে নেই।’