আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার এক টুইটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প নিজেই।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তকালে এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা বলেছিলেন ফ্লিন। সেসময় রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার বিষয়ে মিথ্যা বলায় ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্পের এই সাবেক সহযোগী।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন ফ্লিন। এই ঘটনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার আগেই ঘটেছিল। পরে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে গোপন বৈঠকটির কথা সামনে আসে।
এসবের জেরে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ২২ দিনের মাথায় ফ্লিনকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। তবে এ রিপাবলিকান নেতা এখন বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওই তদন্ত হয়েছিল। সাবেক আর্মি জেনারেল ও ডিফেন্স ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির প্রধান ফ্লিন একজন নিপাট ভালো মানুষ।
মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করার বিষয়ে বুধবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। সেখানেও সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিরপরাধ ভুক্তভোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত একদল সরকারি কর্মকর্তার চক্রান্তের শিকার হয়েছেন ফ্লিন।
সাবেক সহকর্মীকে ক্ষমা করার বিষয়ে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, মাইকেল ফ্লিনকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণা দেওয়া আমার জন্য বড় সম্মানের বিষয়।
এসময় ক্ষমাপ্রাপ্ত ফ্লিন ও তার পরিবারকে অভিনন্দনও জানান ট্রাম্প।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেনকে ক্ষমা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
২০১৩ সালে মার্কিন নিরাপত্তা এজেন্সির একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ফাঁস করার পরপরই রাশিয়ায় পালিয়ে যান স্নোডেন। এরপর থেকেই রুশ সরকারের আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে এনএসএ’র অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নজরদারি কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করেছিলেন স্নোডেন।
যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন বহুদিন ধরেই এডওয়ার্ড স্নোডেনকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে। তবে গত আগস্টে তাকে ক্ষমা করার চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সম্প্রতি একটি গোপন সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার শেষ দিনগুলোতে আরও কিছু মানুষকে ক্ষমা করতে চান।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স